Sunday, February 28, 2016

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কুয়েতের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

আল আমিন রানা ঃ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিঃ
প্রতিবছরের মতো এবারো ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি কুয়েতের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
কুয়েত স্বাধীনতা ওজাতীয় দিবস ২০১৬ উপলক্ষে নানান রঙ্গের আলোক সজ্জায় সজ্জিত কুয়েত আর বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় এক সাথে দু’টি দিবস, আর মেতে উঠে স্থায়ী বাসিন্দারা অনাবিল আনন্দে।
কুয়েত রাজ্য স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৬১ সনের ১৯ জুন মরহুম শেখ আব্দুল্লাহ আল-সালেম আল-সাবাহ এর শাসনাধীন সময়ে। ১৭৮১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের তেল সমৃদ্ধ একটি ছোট্র রাষ্ট্র কুয়েত। এদেশটি উত্তর ও উত্তর পশ্চিমে ইরাক, দক্ষিণ ও দক্ষিণে পশ্চিমে সৌদী আরব এবং পূর্বে আরব উপসাগর বেষ্টিত। শেখ জাবের আহমদ জাবের আস-সাবাহ তার শাসনামলে ১৯৯০ সালের ২ আগষ্ট ইরাক কুয়েতের উপর আক্রমণ করে, কুয়েতকে ইরাকের ১৩তম প্রদেশ ঘোষণা করা হয় এবং আযীয সালেহ আন্ নুমানকে প্রদেশিক গভর্নর মনোনীত করা হয়।
তবে জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এবং কুয়েত ছেড়ে যাওয়ার জন্য ইরাকের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ইরাকের এই আগ্রাসন প্রায় ৭ মাস পর্যন্ত ছিল। জাতিসংঘের নেতৃত্বে বাংলাদেশসহ ৩২টি রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং সৌদিরভুমি ব্যবহারের মাধ্যমে এ আগ্রাসনের সমাপ্তি ঘটে ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১সনে। আরেকবার স্বাধীন হয় কুয়েত। আমরা আগেই জেনেছি কুয়েতের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় ১৯৬১ সনের ১৯ জুন মরহুম শেখ আব্দুল্লাহ আল-সালেম আল-সাবাহর সময়ে। যিনি ১৯৫০ সনে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন এবং তাঁর মসনরদ আরোহণ করার দিনটি ছিল ২৫শে ফের্রুয়ারি। পরবর্তীতে এ দুটি স্মরণীয় দিনকে একসাথে উদযাপিত হয়ে আসছে।
সেই থেকে প্রতি বছর ২৫শে ফেব্রুয়ারি কুয়েত সরকার সেদেশের জাতীয় দিবস এবং ২৬শে ফেব্রুয়ারি মুক্তি দিবস পালন করে আসছে। বর্তমানে শেখ সাবাহ আহমেদ আল-সাবার গতিশীল নেতেৃত্বে এগিয়ে চলছে কুয়েত। শেখ সাবাহ আহমেদ আল-সাবাহ ২০০৬ সালের ২৯ জানুয়ারি কুয়েতের ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার'ই গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে এশিয়ার পেট্রোল সমৃদ্ধ ছোট্র এ মুসলিম দেশটি বিশ্ব সংসারে কুয়েত এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। প্রতিবছর ২৫শে ফেব্রুয়ারি কুয়েত তার জাতীয় দিবস এবং ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মুক্তি দিবস পালন করে আসছে।

No comments:

Post a Comment