Saturday, December 19, 2015

সাভারের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকায় শেফালী বেগম নামের এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার


জাকির সিকদার সাভার থেকে : সাভারের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকায় শেফালী বেগম নামের এক পোশাকশ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শেফালী বেগমের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার শিংজালী গ্রামে। তিনি বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ফজল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন। সেখান থেকে সাভারের সিআরপি এলাকার একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যেতেন। শেফালীর মা সোলেমা বেগম জানান, গতকাল রাতে পোশাক কারখানায় কাজ শেষ তাঁর মেয়ে বাসায় ফেরেন। পরে শেফালী তাঁর মেয়েশিশু নাসরিনকে নিয়ে ঘুমাতে যান। সোলেমা বেগম আরো জানান, রাতের কোনো
এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘুম থেকে ডেকে তুলে শেফালির ঘরে প্রবেশ করে। পরে তাঁর হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সকালে শেফালির ঘরে ঢুকে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, শেফালী বেগমের সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানানো যাবে। ওসি আরো জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

“আমি সিগারেট বলছি” ডাঃ ফারহানা মোবিন


ডাঃ ফারহানা মোবিন::  আমার নাম সিগারেট। বিড়ি নামেও আমি পরিচিত। আমি সাদা কাগজে মোড়ানো। দেখতে কলমের মতো একটি মাদকদ্রব্য। আমাকে দেখতে শান্তির প্রতীকের মতো মনে হয়। কারণ আমি দেখতে সাদা। কিন্তু আমি ভীষণ ভয়ানক একটি মাদকদ্রব্য। আমি খুব সহজলভ্য একটি মাদক। আমি পৃথিবীর সব দেশে, শহরে এবং গ্রামেও পাওয়া যায়।

যে কোন দেশের মানুষের মধ্যে আমি খুব দ্রুত নেশা তৈরী করতে পারি। ছোট, বড় নারী, পুরুষ যে কেউ আমার নেশাতে আক্রান্ত হয়। দুই থেকে তিন দিন কয়েকবার আমাকে গ্রহণ করলেই, আমি নেশাতে পরিণত হই। যে কোন দেশের, যে কোন পরিবেশের মানুষকে আমি দ্রুত আসক্ত করে ফেলি। আমার অপর নাম ‘ধূমপান’।

আমার দেহের ক্ষতিকর পদার্থগুলো রক্তে মিশে নেশা তৈরী করে। রক্তে মিশে যাবার পরে মস্তিষ্কের ¯œায়ুগুলো বার বার ধূমপান করার জন্য মনুষকে বাধ্য করে। পরিণামে তীব্র নেশাতে পরিণত হয়। তখন ধূমপান হয়ে যায় জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সদস্য।

সিগারেটের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর পদার্থটির নাম হলো ‘নিকোটিন’। নিকোটিন দেহের রক্তের সাথে মিশে পুরো দেহের অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপকে পরিবর্তন করে দেয়। তখন দেহ বার বার নিকোটিন কেই চায়। মানুষ না চাইলেও তখন নেশা হয়ে যায়। সিগারেট খাওয়া মানে ধূমপান। আর ধূমপান মানেই বিষপান। সারা পৃথিবী জুড়ে রয়েছে নানান রকমের সুন্দর সুন্দর প্যাকেটে আর বাক্সে ভরা সিগারেট। নামীদামী কোম্পানিরও রয়েছে প্রচূর সিগারেট। কিন্তু যতো বড়ো কোম্পানিরই হোক না কেন সিগারেট বা ধূমপান হলো বিষপান।

এই বিষপান দেহে তৈরী করে নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতা। যা চাইলেও ছাড়া যায় না। মাত্র ৪-৫ দিন নিয়মিত খেলেই নেশা হয়ে যায়। তখন সিগারেট না খেলে ভালো লাগে না। মাথা জ্যাম হয়ে আসে। মাথা ঠিক মতো কাজ করছেনা। এই ধরণের অনুভূতি হয়।

অর্থাৎ সিগারেটের নিকোটিন দেহের মধ্যে এমনভাবে বাসা বেধে ফেলে যে, তখন নিকোটিন ছাড়া ভালো লাগেনা। দূর্বল লাগে, অস্বস্তি আর বিরক্তিতে মাথা ঘুরায়। অনেকের ভয়ঙ্কর মাথা ব্যাথা শুরু হয়। যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাদের রক্তচাপ পর্যন্ত বেড়ে যায় বিরক্তি আর অস্বস্তির কারণে। ছোট্ট একটি জিনিস কিন্তু দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একটি সিগারেট দেহের একবিন্দু রক্ত নষ্ট করে ফেলে। দেহের রক্তের মূল উপাদান হলো লোহিত রক্ত কণিকা। একটি সিগারট একটি লোহিত রক্ত কণিকাকে দূর্বল করে দেয়।

লোহিত রক্ত কণিকা দূর্বল হয়ে পড়লে মানুষও দূর্বল হয়ে যায়। তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। ফলে দেহে বাসা বাথে নানান রকমের অসুখ।

আমি ‘সিগারেট’ বলছি, তোমরা আমাকে ঘৃণা করো। আমার কোন ভালো দিক নায়। আমি শুধু তোমাদের ক্ষতিই করি। আমার উপকারী কোন গুণ নায়। এই পৃথিবীতে শুধু সিগারেট না, প্রতিটি মাদক দ্রব্যই হলো স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ খারাপ। মাদক দ্রব্য দেহের প্রতিটি অঙ্গের উপর ফেলে বিরূপ প্রভাব। ঘুনে ধরা পোঁকার মতো মানুষকে দূর্বল করে দেয়। মৃত্যু এসে দ্রুত নিয়ে যায় না ফেরার দেশে।

আমি ‘সিগারেট’ বলছি। তোমরা আমাকে ঘৃণা করো। যারা আমাকে গ্রহণ করেছে, আমি শুধু তাদের না, যারা আমাকে গ্রহণ করেনি আমি তাদেরও ক্ষতি করি। যদি একটি বাসায় একজন ধূমপান করে, তবে অন্য যারা ধূমপান করেনা তাদেরকেও হুমকির মুখে ফেলে দেয় ধূমপান।

ধূমপান বলতে বিড়ি, সিগারেট, চুরুট, তামাক সব কিছুকেই বোঝায়। যে কোন প্রকারের ধূমপানই হলো বিষপান। গর্ভস্থ শিশুর জন্যও ধূমপান ভীষণ খারাপ। যেসব মা বাবা ধূমপান করেন, তাদের সন্তানেরা হয় নানান রকম রোগের শিকার। অন্য শিশুদের তুলনায় তারা হয় দূর্বল ও কম মেধা সম্পন্ন। জীবন যুদ্ধে তারা পিছিয়ে পড়ে। কোন বাসায় একজন ধূমপান করলে ধূমপানের সময় নির্গত হওয়া বিষাক্ত গ্যাসের জন্য বাসার অন্যরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গর্ভবতী মায়ের শিশুরাও হয় বিভিন্ন অসুখের শিকার।

মায়ের পেটে থাকলেও তারা আক্রান্ত হয় বিভিন্ন জটিলতায়। যেমনÑ নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই তাদের জন্ম হতে পারে, যাদেরকে বলে প্রিমেটিউর (চৎবসধঃঁৎব) বেবি। অনেকের শ্বাসকষ্টও হয় জন্মের পূর্বে (পেটের মধ্যে) ও পরে (জন্মের সময় বা পরে)।

ধূমপানের সময় নির্গত হওয়া বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে মিশে পুরো পরিবেশকে করে তোলে বিষাক্ত। যা ছোট বড় সবার জন্য ক্ষতিকর। সিগারেট পুরো দেহের সব অঙ্গকে বৃদ্ধ করে তোলে। ত্বকে আনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। দেহের সবগুলো অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করে ফুসফুসকে। (ফুসফুস বুকের মধ্যে অবস্থিত দেহের একটি জরুরী অঙ্গ; যার মাধ্যমে আমরা নিঃশ্বাস নিই)।

দীর্ঘবছর প্রচুর পরিমাণে সিগারেট খেলে শ্বাসকষ্ট থেকে যক্ষ্মা, ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। যারা ধূমপান করে তারা এ্যাকটিভ (অপঃরাব) স্মোকার (ঝসড়শবৎ) আর যারা ধূমপায়ীর পাশে থাক বা ধোয়া ধূমপায়ীর আশে পাশে যাদের মধ্যে পৌছে তারা হলে প্যাসিভ স্মোকার (চধংংরাব ঝসড়শবৎ)।

এ্যাকটিভ আর প্যাসিভ স্মোকার দুজনেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই বিরত থাকুন ধূমপান সহ সব ধরণের মাদক থেকে।

ধূমপান, কারখানার বিষাক্ত ধোয়া, পরিবেশ দূষণে দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে কার্বন মনো অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন সব যাবতীয় ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ। এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা বিভিন্ন শারীরিক মানসিক জটিলতার শিকার হচ্ছি। যা কখনোই কাম্য নয়।

আসুন আমাদের দেহ, মন, পরিবেশকে আমরা ভালো রাখি। ধূমপান সহ যাবতীয় মাদককে ‘না’ বলি। শুধু এই দেশ নয়, পুরো পৃথিবীকে ভালো রাখার জন্য আমরা ধূমপানকে ঘৃণা করি। তাই আমি ‘সিগারেট’ তোমাদের আবারো বলছিÑ “তোমরা আমাকে ঘৃণা করো”।

ডাঃ ফারহানা মোবিন
এমবিবিএস (ডি.ইউ), এমপিএইচ (ইপিডেমিওলজি-থিসিস পার্ট),
পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ট্রেনিং ইন গাইনী এন্ড অবস্ (স্কয়ার হাসপাতাল),
রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার (গাইনী এন্ড অবস্),
স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ।

বরিশালে মেহেন্দীগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত


অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :   বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের চরহোগলা স্কুল প্রাঙ্গনে আয়োজিত মেহেন্দীগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, সাবেক চিফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস এমপি এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি। অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

রিশালে পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের ধারণা ও প্রয়োগ সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা


অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :  সোশ্যাল আপলিফটমেন্ট ভলান্টারী অর্গানাইজেশন-এসইউভিও ও পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের আয়োজনে এবং অক্সফ্যামের সহযোগিতায় ১৯ ডিসেম্বর শনিবার সকালে বরিশাল বিডিএস কনফারেন্স রুমে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন- ২০১০ এর প্রয়োগের ৫ বছরের অভিজ্ঞতা বিনিময় শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. নূরুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বরিশালের পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হানিফ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম, অক্সফ্যামের জেন্ডার ম্যানেজার নাজমুন নাহার, আমরাই পারি ক্যাম্পেইনের জাতীয় সমন্বয়কারী জিনাত আরা হক, আমরাই পারি জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আভাস’র নির্বাহী পরিচালক, আমরাই পারি জেলা জোট সদস্য রহিমা সুলতানা কাজল, ব্লাস্ট’র কোÑঅর্ডিনেটর মো. খলিলুর রহমান, এ্যাড. মুনিরা পারভীন, এ্যাড. শাহিদা বেগম, বিভিন্ন এনজিও এবং সরকারী প্রতিনিধি, স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
আমরাই পারি জেলা জোট সদস্য, আভাস-এলএইচডিপি প্রকল্প সমন্বয়কারী নাসরিন আকতারের উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আমরাই পারি জেলা জোট সদস্য সচিব ও এসইউভিও’র নির্বাহী পরিচালক হাসিনা বেগম নীলা। সভায় পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন-২০১০ সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন সংগঠনের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. ফরিদা ইয়াসমিন। সভায় আইনটি সম্পর্কে সকলকে অবগত করানো এবং তার যথাযথ ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নবীগঞ্জে শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।।  নবীগঞ্জ উপজেলার কবুলেশ্বর গ্রামে শফিক মিয়া নামের ১০ বছরের এক শিশুর  ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে দিকে। মৃত শফিক ওই গ্রামের ইসলাম মিয়ার ছেলে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকালে ইসলাম মিয়া তার ছেলেকে নিয়ে জমিতে কাজ করতে পাশ্ববর্তী হাওরে যান। সেখানে কাজ করার এক পর্যায়ে বিকাল ৩ টার দিকে  ছেলে শফিক মিয়াকে ১০ টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে
ইসলাম মিয়া বাড়িতে এসে ঘরে প্রবেশ করতে
চাইলে দেখেন দরজা বন্ধ। এ সময় ছেলে শফিক
মিয়াকে খোঁজাখোঁজি করতে গিয়ে দেখেন বাড়ির পিছনে একটি আম গাছে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস
লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় শিশু শফিকের লাশ।
ইসলাম মিয়া ও তার ছেলেদের কান্নাকাটি চিৎকারে আশ পাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশকে খবর দেন। পরে বেলা সাড়ে ৫ টার দিকে গোপলার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এস আই আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরী করেন। শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে লাশ প্রেরন করেন।

Friday, December 18, 2015

'বাংলাদেশে ৩০ লাখ গার্মেন্ট শ্রমিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে'


যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানায় কমপক্ষে ত্রিশ লক্ষ শ্রমিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।
এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, রানা প্লাজা ধসে ১১শর বেশি শ্রমিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে কর্মসূচি নেয়া হয়, তার চার ভাগের তিন ভাগ কারখানাই সেই কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছে।
এগুলোর বেশির ভাগই ছোট কারখানা এবং এগুলো বড় বা নামীদামী কারখানার জন্য কাজ করে থাকে।
তবে গার্মেন্টস মালিকরা এমন বক্তব্য নাকচ করে বলেছেন, রপ্তানিকারক সব কারখানাই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার বলেছে, ছোট কারখানাগুলোকেও নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্র্যান সেন্টার ফর বিজনেস এন্ড হিউম্যান রাইটস এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে।
সেই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাংলাদেশে সাত হাজারের বেশি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে।
এগুলোর একটা বড় অংশের কোন নিবন্ধন নেই।
এই ছোট কারখানাগুলো বড় বা নামী-দামী কারখানার জন্য সাবকন্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করে থাকে।
কিন্তু এই ছোট কারখানাগুলোর নিরাপত্তার বিষয় নজরদারির আওতায় নেই।
ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে, এমন একটি সংগঠনের নেত্রী মোশরেফা মিশু বলেছেন,সরকার এবং মালিকপক্ষ, কেউই ছোট কারখানাগুলোর নিরাপত্তার দিকে নজর দেয় না।
রানা প্লাজা ধ্বসে গার্মেন্টস শ্রমিক হতাহতের ঘটনার পরে কারখানাগুলোর শ্রমিকের কাজের নিরাপত্তার প্রশ্ন সামনে আসে।
সেই প্রেক্ষাপটে, ইউরাপে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যাকর্ড এবং অ্যলায়েন্স নামের দুটি ফোরাম গঠন করে বাংলাদেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে নিরাপত্তা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নেয়।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় বলা হয়েছে, গার্মেন্টস কারখানার চার ভাগের মাত্র এক ভাগ কারখানাকে সেই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।
ফলে বেশিরভাগ কারখানায় ত্রিশ লাখের মতো শ্রমিক নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে।
Image copyrightAP
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের ফোরাম অ্যাল্যায়েন্সের মেজবাহ রবিন বলছিলেন, “সরকারি হিসাব এবং বিজিএমইএ’র তালিকা অনুযায়ী সাড়ে তিন হাজার কারখানা এখন চালু আছে। অ্যাকর্ড, এ্যালায়েন্স এবং আইএলও এর সহায়তায় সরকারের ন্যাশনাল কর্মসূচি অধীনে, এই তিন ভাগে তালিকাভুক্ত একশ ভাগ কারখানাকেই নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।”
গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান এটা স্বীকার করেছেন যে, ছোট কিছু কারখানা রয়েছে।
তবে তার দাবি হচ্ছে, বড় কারখানাগুলো এখন ঝুঁকিপূর্ণ কারখানার কাছে সাবকন্ট্রাক্টে কাজ দেয় না।
তিনি আরও বলেছেন, ছোট কারখানাগুলো দেশের ভিতরে চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করে।
এরা রপ্তানিকারক না হওয়ায় তারা বিজিএমইএ’র সদস্যও হতে পারে না।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলেছেন, কেরানীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় ছোট কারখানা রয়েছে।
এর সংখ্যা হাজার খানেক হবে।
এসব কারখানাকেও দু’বছরের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে আনা হবে।

সিরিয়ার ভবিষ্যৎ ঠিক করবে সিরিয়ানরা: জাতিসংঘ


সিরিয়া সংকট সমাধানে সর্বসম্মতভাবে একটি শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন বিশ্বনেতারা।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অনুমোদিত ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ প্রশ্নে সেদেশের নাগরিকরাই সিদ্ধান্ত নেবে। তাই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে একটি মুক্ত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
ওই প্রস্তাবে সিরিয়ার সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে অবিলম্বে তারা সাধারণ নাগরিকদের উপর হামলা বন্ধ করবে।
জানুয়ারীতে উভয়পক্ষকে নিয়ে শান্তি আলোচনা শুরু হবে।
আঠারো মাসের মধ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, যার মাধ্যমে সেদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যে সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভবিষ্যৎ কি হবে, তা পরিষ্কার নয়।
আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি মন্তব্য করেছেন, এই প্রস্তাব কার্যকর হলে সন্ত্রাসীরা আর সুযোগ নিতে পারবে না এবং রাজনৈতিকভাবেই সিরিয়ায় পরিবর্তন হবে।
এই শান্তি প্রক্রিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা তাদের সহযোগী কোন দল অংশ নিতে পারবে না।
সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ সপ্তাহের মধ্যেই তার সরকার শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুতি নেবে। কিন্তু বিরোধী দলের পক্ষে কে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আসবে, সেটি তারা আগে জানতে চায়।
প্রেসিডেন্ট আসাদের ভবিষ্যতের বিষয়ে বিশ্বনেতাদের কিছু বলার থাকতে পারেনা বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশের দাবি, শান্তি প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াতে হবে। ।



সিলেট'র আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা কুয়েত কাঁপিয়েছে বেশ, লোকে বলে,সিলেটিদের বেটাগিরি সর্বত্র দেশ বিদেশ


আ,হ জুবেদঃ   অটাল সম্পদ, পীর-আউলিয়া, বাউল এবং বহু জ্ঞানীগুণী মানুষদের জন্ম ঠিকানা তথা দ্বিতীয় লন্ডন বলে খ্যাত সিলেটের পুণ্যভূমি।

এই সিলেটের মানুষরা স্বদেশে যেমন দেশের সংস্কৃতি ,কৃষ্টি ও ঐতিহ্য বুকে লালন করে থাকেন; ঠিক তেমন'ই বিদেশের মাটিতেও কোনরূপ ব্যতিক্রম হয়না।

গত ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার কুয়েতের আব্বাসিয়া এলাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে বিশাল আয়োজনের মধ্যদিয়ে  কুয়েতে ব্যাপক উৎসবমুখর পরিবেশে  সিলেট'র আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্টিত হয়েছে।

উক্ত সিলেট'র আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় দেশের সংস্কৃতি ,কৃষ্টি ও ঐতিহ্য অনেকটা সিলেটের আঞ্চলিক ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করা হয়।

এদিকে উক্ত অনুষ্টানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন সিলেটের'ই কৃতি সন্তান কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসহাব উদ্দিন এনডিসি, পিএসসি অঃ

অনুষ্টান পরিচালনায়, সহযোগিতায় ও উদ্যোক্তা  হিসেবে ছিলেন, মিহির কান্তি পাল (পরিবার) আবুল হাসেম এনাম, জুনেল আহমেদ, এম,ডি সেলিম(পরিবার) হাজী মাহমুদ আলি,এস,আই ফয়সাল, কিং ফয়সাল,রাহাদ আসাদ, শেখ নিজামুর রহমান (টিপু-উপস্থাপক) সঞ্জিত বাবু (পরিবার) সুমন, জয়নাল আহমেদ, মুন্না আহমেদ, ও শাহ্‌ আব্দুল করিম স্মৃতি পরিষদের পুরো পরিবার।

কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ছাড়াও প্রায় কুয়েতের সকল শ্রেণী- পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা উপস্থিত থেকে মন মুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্টানটি উপভোগ করেছেন।
https://www.youtube.com/watch?v=u9ZxJ7bWmCw&feature=youtu.be

এদিকে কুয়েত প্রবাসী ক্রীড়া প্রেমী সিলেটীদের ক্রীড়া সংগঠন নবজাগরণ স্পোর্টিং ক্লাবের একটি সেমিফাইনেল খেলা শেষে উক্ত সংগঠনের খেলোয়াড়বৃন্দরা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাঝামাঝি সময়ে এসে অনুষ্টানে যোগ দিয়েছিলেন।
https://www.youtube.com/watch?v=u9ZxJ7bWmCw&feature=youtu.be

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাশেদ মোশাররফ পাঠানের মরহুম পিতার মৃত্যু দিবসে অগ্রদৃষ্টি পরিবারের দোয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলি


অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ  আজ ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৫ইং, আজকের এই দিনে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অগ্রদৃষ্টি অনলাইন টিভির মহাপরিচালক রাশেদ মোশাররফ পাঠানের মরহুম পিতা হাজী গোলাম মোস্তফা পাঠান পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেছিলেন।

রাশেদ মোশাররফ পাঠান অগ্রদৃষ্টিকে জানান, উনার মরহুম বাবার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে দেশে নিজ বাসভবনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে।

এদিকে কুয়েতে বসবাসরত পাঠান পরিবারেও মরহুম পিতার জন্যে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
এছাড়া কুয়েত প্রবাসী রাশেদ মোশাররফ পাঠানের সহকর্মী, সহপার্টি ও শুভাকাঙ্ক্ষী বহু সংখ্যক প্রবাসীরা উনাকে ফোন করে, সাক্ষাৎ করে ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উনার মরহুম পিতা হাজী গোলাম মোস্তফা পাঠানের বিদেহী আত্মার শান্তি ও রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।

অগ্রদৃষ্টি পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ ও অগ্রদৃষ্টি মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক আ হ জুবেদ মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রাশেদ মোশাররফ পাঠানের মরহুম পিতার মৃত্যু দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বিশেষ দোয়া করেন।

Thursday, December 17, 2015

ফুতপাতের লাল চাদর দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, জাতি কি তবে আজো নির্লজ্জ?


নাজিম হাসান,স্টাফ রিপোর্টার,রাজশাহী: দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান যারা জীবন বাজি রেখে ছিনিয়ে এনেছেন লাল সবুজের পতাকা। সেই সূর্য সন্তানদের তানোরে বিজয় দিবসে ফুতপাতের লাল ছোট্ট চাদর দিয়ে দেয়া হয়েছে সংবর্ধনা। স্বাধীনতার ৪৪ বছরের এমন তাচ্ছিল্য সংবর্ধন দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গত বুধবার ডাকবাংলো ফুটবল মাঠে খেলাধুলা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের লাল চাদর ও রজনীগন্ধার ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেন ইউএনও। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ইউএনও বলেন, সরকারের বরাদ্দ ন্যুনতম। তার মধ্য থেকে আপনাদের হাতে সামান্য অপ্রতুল কিছু তুলে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। এ অনুষ্ঠান ও দুপুরের খাবারের জন্যে ইউএনও উপজেলার এনজিও প্রতি ১ হাজার থেকে ১৫’শত টাকা চাঁদা দাবি করে। উপজেলা সদরে জাগরণী চক্র নামের ও আশা নামের এনজিও দুটি ৫০০ টাকা করে দিতে চাইলে প্রচন্ড থ্রেড করেন ইউএনও। চাতাল সমিতি, বিসিআইসি সমিতি, করাত কল সমিতি, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, স্কুল কলেজ, পেট্রোল পাম্প সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের লাল চাদর যাতে কেউ বুঝতে না পারে সে জন্যে উপহার মোড়ানো ওয়াল পেপার ও সাদা পলেথিনে আকর্ষণীয় ভাবে সবাইকে বোকা বানিয়ে নিজেকে চতুর মনে করে এভাবে চাদর গুলো তুলে দেন তাদের হাতে। শুধু এখানেই শেষ না দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের আয়োজনে খাবারে ছিল ব্যাপক স্বল্পতা। অনেকে খাবার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে করতে চলে যান। এমনকি পরে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারী ও দায়িত্ব থাকা শিক্ষকদের খাবারে ব্যাপক হ-য-ব-র-ল সৃষ্টি হয়। অনেকে খাবারের প্লেট রেখে চলে যান। খাবার খেয়ে বের হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ওয়াল পেপার থেকে লাল চাদর বের করে আক্ষেপ করে জানান, স্বাধীনতার ৪৪ বছরের পুরষ্কার ফুতপাতে পড়ে থাকা লাল চাদর। এটাই আমাদের ভাগ্যে লিখা ছিল। মুক্তিযোদ্ধা মোজাহার আলী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, লোক মুখে শুনেছি সব স্তর থেকে ইউএনও’র পিয়ন দিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। কেন আমাদেরকে এত তাচ্ছিল্য করা হলো। আমরা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ইউএনও’র এমন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে জানান তিনি। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জানান, বছরে একবার এ বিজয়ের দিনে ডাক পড়ে আমাদের। আমরা খেতে চাইনি। কিছু নিতেও চাই না। সরকার যথেষ্ট দিচ্ছে। এ ইউএনও আশার পর গত বিজয় দিবসে ত্রাণের কম্বল দিয়ে আমাদের সংবর্ধনা দিয়েছিল। আমাদের সন্দেহ হয় তিনি কি প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় বিশ্বাসী এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওহাব শেখ জানান, বিজয় অনুষ্ঠানে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা ছিল। তার মধ্যে ১২ জন নারী। ইউএনও’র এসব কর্মকান্ড দেখে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি মন্তব্য করব এসব নিয়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনীরুজ্জামান ভূঁঞা চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম। এর মধ্যে থেকে জাতির সূর্য সন্তানদের কিছু দিতে পেরেছি এটাই বা কম কিসের।

টিএসসিতে নিজের গায়ে আগুন


স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির টয়লেট থেকে গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এসসির দ্বিতীয় তলার একটি টয়লেট থেকে ওই ছাত্রীর চিৎকার ও ধোঁয়া দেখে অন্য শিক্ষার্থীরা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে। আনজুমান আরা নামে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়েন। তিনি কবি সুফিয়া কামাল হলে থাকেন। তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন মাহবুব খানসহ অন্য শিক্ষার্থীরা। মাহবুব বলেন, হঠাৎ করেই বাথরুম থেকে আর্তচিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে যাই। দেখি সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপর টয়লেটের দরজা 
ভেঙে ফেললে জ্বলন্ত অবস্থায় আমরা পাই। আগুন নিভিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি। ওই ছাত্রীর শরীরের ২৮ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ারুল ইসলাম। টিএসসির একজন কর্মচারী জানান, ওই ছাত্রী টিএসসির একটি টয়লেটে ঢুকে নিজের গায়ে আগুন দেন। বাইরে থেকে বিষয়টি বুঝতে পেরে অন্যরা তাকে উদ্ধার করে তবে কী কারণে ওই ছাত্রী নিজের শরীরে আগুন দিয়ে থাকতে পারেন সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বনপা’র নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, মিথ্যাচার ও ব্ল্যাক মেইলিং


জাকির সিকদার: বনপা’র নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা, মিথ্যাচার ও ব্ল্যাক মেইলিং করছে একটি স্বার্থানেষি মহল, যাদের থেকে সংশ্লিষ্ট অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিকদের সাবধান থাকার জন্য অনুরুধ জানানো হচ্ছে ! অনলাইন গণমাধ্যম অপব্যবহার করে প্রতারণা অনলাইন গণমাধ্যম নিবন্ধনের সময়সীমা বর্ধিতকরণ নিয়ে একটি মহলের মিথ্যাচার সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সম্প্রতি জনৈক প্রতারক শামসুল আলম স্বপনগং ফেসবুকে দাবী করেছেন, তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় এই সময় বাড়িয়েছে,যা আদৌ সত্য নয়।

গত ৬ ডিসেস্বর তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘নিউজ পেপারস ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ'(নোয়াব)সহ স্টেকহোল্ডারদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।ওই সভায় দৈনিক সমকালের সস্পাদক গোলাম সারওয়ার, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলী স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামসহ নোয়াব এর কর্মকর্তাসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ ও প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।

প্রতারকরা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানের আলোকচিত্রও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে প্রচার অব্যহত রেখেছেন।প্রতারক মহলটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল মালিকদের তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইতোমধ্যে অনেকের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এই অভিযোগটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরীভূত হওয়ার প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর ব্যাপারে কারো প্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

একইসঙ্গে নিবন্ধনের জন্য কোন তদবিরের প্রয়োজন নেই বলেও সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।বিশেষভাবে উল্লেখ্য, দেশবরেণ্য তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারের প্রচ্ছন্ন সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশান’ (বনপা) এর বাইরে বাংলাদেশে আর কোন বনপা’র অস্তিত্ব নেই বলে সবাইকে জানানো যাচ্ছে।প্রকৃত বনপা’র সঙ্গে বহুল বিতর্কিত শামসুল আলম স্বপনের কোন সস্পর্ক নেই।বৈধ কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র নিয়ে আমাদের কর্তৃত্বে বনপার নিবন্ধনের প্রক্রিয়াও চূড়ান্ত পর্যায়ে।অযথা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে জনকল্যাণমুখি বনপা’র অপব্যবহারের বিপক্ষে আমরা অবিচল।

অনলাইন গণমাধমের অবাধ ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে নামসর্বস্ব ভূয়া এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে এখনি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।একইসঙ্গে মহান এই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও জোড়ালো হয়ে উঠেছে বলে আমরা মনে করছি।

বিজ্ঞপ্তি- সুভাষ সাহা, এইচ এম তারেক চৌধুরী ও এম আলী হোসেন।* পক্ষে- “বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশান(বনপা)”*.০১৭১১৫৬১৩৯০, ০১৮১২৩৩৩০৭৫, ০১৮১৯৮৩৪৬১৬

জাতীয় স্মৃতিসৌদে বিএমএসএফ’র পুস্পমাল্য অর্পণ


সাভার  প্রতিনিধি:: সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌদে পূষ্পমাল্য অর্পনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সারাদেশের বিভিন্ন শাখা কমিটি মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে। বুধবার সকাল ১১টায় শহীদদের স্মরণে  বিএমএসএফ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এ সময় সংগঠনের সভাপতি এসএম আব্দুল মুগনী নীরো, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর, আইন উপদেষ্টা এ্যাড. কাওসার হোসাইন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সোনিয়া সরকার, গাজীপুর জেলা সভাপতি শাহজাহান মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ খান, সাভার উপজেলা সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি নুর হোসেন, এম কে পাশা ভূঁইয়া,সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ, অর্থ সম্পাদক ইমামুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পূস্পমাল্য অর্পন শেষে স্মৃতিসৌদ চত্ত্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা দ্রুত প্রনয়ণের দাবী করেন।

সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় সরকার দলীয় এমপির


পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও এতে সন্তুষ্ট নন সরকার দলীয় এমপি ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী। শরীয়তপুর-২ আসনে ক্ষমতাসীন দলের এ এমপি স্বয়ং নিজের এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি নিজেই নড়িয়া পৌরসভায় তার দলের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে হাজির হন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিতে এলেও তার দেখা পাননি শওকত আলী। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী ‘ত্রাস’ সৃষ্টি করেছেন নড়িয়ায়। ফলে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয়ে আছেন তিনি।

“নড়িয়া পৌরসভায় মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি হরদম লঙ্ঘিত হচ্ছে, অস্থির অবস্থা, ত্রাসের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”

“আওয়ামী লীগের একজন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে এসব কাজ হচ্ছে। সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে, তা বুঝতে পারছি না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।”

নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হায়দার আলী। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়েও মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন শহীদুল ইসলাম বাবু।

বাবুকে সমর্থন দিচ্ছেন নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক। তিনি পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হকের ভাই।

নড়িয়ায় দলের কর্তৃত্ব নিয়ে সংসদ সদস্য শওকত আলী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ইসমাইলের বিরোধ রয়েছে। মাসখানেক আগে হামলার শিকার হয়ে সেজন্য ইসমাইল সমর্থকদের দায়ী করেছিলেন শওকত আলী।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার বলেন, “আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হায়দার আলী এসব বাড়াবাড়িতে পটু না । সে নির্বাচন কমিশন ও প্রচলিত আইনের ওপর নির্ভর করছে।”

পক্ষান্তরে বাবুর পক্ষে বিএনপির এক নেতাও কাজ করছেন এবং তারা এলাকায় হায়দারের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন বলে শওকত আলীর অভিযোগ।

“আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছেলে পাভেল প্রচারের কাজে গ্রামে গেলে তাকে ধাওয়া করছে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকেরা। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।”

তবে ইসির উপর আস্থা এখনও রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যের।

“সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই যেন করা হয়। সিইসিকে বলতে এসেছিলাম, তিনি বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত। রিটার্নিং অফিসারকেও জানানো হবে। থানার ওসি ও এসপিকে জানিয়েছি।”

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সমালোচনা করে সুষ্ঠু ভোটের শঙ্কা প্রকাশ করলেও ক্ষমতাসীন দল থেকে এই প্রথম কেউ সংশয় প্রকাশ করল।

তবে বিএনপির ‘শঙ্কার’ সঙ্গে তার অভিযোগ এক নয় বলে দাবি করেন শওকত।

“বিএনপির সঙ্গে মিল নেই আমার কথায়। তারা বেশি করে বলার চেষ্টা করছে। আমি শুধু একটি পৌরসভার কথা বলছি। সারাদেশের বিষয়ে আমি অবগত নই।”

আই,এস,আই এর অর্থের উৎস কোথায়?


জঙ্গি সংগঠন আইএসকে পৃথিবীর সবচেয়ে সম্পদশালীগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সম্প্রতি এক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, আইএস-এর মাসিক আয় ৮০মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবছর তেল বিক্রি করে আইএস ৫০০ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করে।
যার অর্থ প্রতিদিন তারা তেল বিক্রি করে ১৫লাখ ডলার আয় করছে। ইরাক এবং সিরিয়ার অনেক বড় তেল ক্ষেত্রে এখন আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।
এই তেল ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এই তেল কারা কিনছে?
মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হাতে যাতে কোনভাবেই অর্থ না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করেতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ১৫টি দেশের অর্থমন্ত্রীরা এক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
১৯৯৯ সালে আল-কায়েদার অর্থের উৎস বন্ধ করতে যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল তার ভিত্তিতেই আইএস-এর বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।

Image copyrightAP
Image captionতেল ক্ষেত্র লক্ষ্য করে বিমান হামলাও চলছে।

কোন উপায়ে যাতে আইএস অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য পৃথিবীর সব দেশকে আরো সুনির্দিষ্ট এবং জোড়ালোভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আইএস-এর অর্থের উৎস কী? মূলত তাদের অর্থ আসে দু’ভাবে। প্রথমত তেল বিক্রি এবং দ্বিতীয়ত লুটকরা পুরাকীর্তি বিক্রি করে।
অভিযোগ রয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ দালালদের সহযোগিতায় আইএস’র কাছ থেকে তেল কিনছে।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন আইএস’র কাছ থেকে তুরস্ক তেল কিনে ।
মি: পুতিন বলেন আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ তেল তুরস্কে যায় বলে তার কাছে তথ্য রয়েছে।
তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মি: পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, আইএস-এর কাছ থেকে তুরস্কের তেল কেনার বিষয়টি যদি রাশিয়া প্রমাণ করতে পারে তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে কি মি: পুতিন তার পদে থাকবেন? প্রশ্ন করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট মি: এরদোয়ান।


মি: এরদোয়ান স্বীকার করুন আর নাই করুন। আইএস-এর তেল দালালদের মাধ্যমে তুরস্কে পৌঁছে।
আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৮০ লাখ লোক বসবাস করে। তাদেরও জ্বালানীর প্রয়োজন হয়।
জাতিসংঘের সত্তর বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নিরাপত্তা পরিষদের সবগুলো দেশের অর্থমন্ত্রীরা কোন বৈঠকে মিলিত হলেন।
আমেরিকা এবং রাশিয়ার উদ্যোগে আনা এই প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের সবগুলো দেশ সর্বসম্মত সমর্থন দিয়েছে।
তারা মনে করে আইএস যাতে কোনভাবেই অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

কুয়েতে মহান বিজয় দিবস পালন,আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপের মাত্রা ছিল খানিকটুকু বেশি


নিজস্ব প্রতিনিধি::::  কুয়েতে মহান বিজয় দিবস বিপুল উত্সাহ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের সভাপতি ও মর্ণিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাপুলের সার্বিক সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের উদ্যোগে গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার কুয়েতের আব্বাসিয়া এলাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে ৪৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ২০১৫ অনুষ্টিত হয়েছে।
ফয়েজ কামাল, সুলতান ফারুক ও আব্দুল হাই ভুইয়ার প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত ও দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা'র মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পরক্ষণে মন মুগ্ধকর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান ও প্রধান অতিথিকে ফুলের তুড়া  দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।
প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, মর্ণিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শহীদুল ইসলাম (পাপুল)

উক্ত অনুষ্টানে কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে একপর্যায়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে আসা বহু দর্শকবৃন্দের চরম অসন্তোষ ও বিরক্তিকর মনোভাব পরিলক্ষিত হয় এছাড়াও অনুষ্ঠান সমাপ্তির পূর্বে বসার আসন শূন্য করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে অনেককে দেখা যায়।

এমতাবস্থায় অনুষ্ঠান সফল কি না ব্যর্থ ঠিক এমন প্রশ্ন যখন উক্ত অনুষ্ঠান স্থলেই খুব বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল এবং অনুষ্টান পরিচালনাকারীদের পারফরম্যান্স কেমন ছিল? এহেন একাধিক প্রশ্নে যখন আশপাশের অনেককে বেশ জর্জরিত করেছিল প্রায়; ঠিক তখন এব্যাপারে অগ্রদৃষ্টির কাছে কতিপয় কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বলেন, অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক জনাব শহীদুল ইসলাম (পাপুল) এর আয়োজন,মহৎ উদ্যোগ বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

কিন্তু অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে যাদের দেয়া হলো; যদিও তাদের অনেকেই বেশ শ্রম ব্যয় করেছেন অনুষ্ঠানটিকে পুরোপুরি ভাবে সফল করার অভিপ্রায়ে।
কিন্তু একটি পর্যায়ে সেই শ্রমের বিনিময়ে অর্জনটুকু আশানুরূপ হলোনা; তাও তাদের'ই কতিপয় সহযোগী পরিচালকের অমনোযোগী, অবহেলা ও আভ্যন্তরিক কিছু কোন্দলের কারণে।
এদিকে উক্ত অনুষ্ঠান দেখতে আসা একজন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বললেন, আজ কুয়েতে মহান বিজয় দিবস পালন হলো ঠিকই; কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, পরিচালনাকারীদের অনেকের মধ্যে'ই আশীর্বাদের চেয়ে অভিশাপের মাত্রা ছিল খানিকটুকু বেশি।

Wednesday, December 16, 2015

আড়াই লাখ শূন্য পদ!


অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ -সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের যেসব ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে এর মধ্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষি অন্যতম। স্বাস্থ্য খাতের সাফল্য সারা বিশ্বে স্বীকৃত। কৃষির সাফল্য এতটাই ব্যাপক যে চাল আমদানিকারক থেকে বাংলাদেশ এখন রপ্তানিকারক দেশ। নারীশিক্ষার প্রসারেও দেশ আজ মডেল। তবে এসব সাফল্য যে মন্ত্রণালয়গুলোর হাত ধরে এসেছে সেগুলোই ভুগছে জনবলের অভাবে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, শিক্ষকের অভাবে পাঠদান বন্ধ হওয়ার জোগাড়, কৃষি কর্মকর্তার পদও শূন্য। যথাযথ অনুমোদন থাকার পরও এসব পদ পূরণে দৃষ্টিকটুভাবে ব্যর্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। সরকারপ্রধান বারবার তাগাদা দিয়েও এসব শূন্য পদ পূরণ করাতে পারছেন না। বেকারের এই দেশে মন্ত্রণালয়গুলোর প্রশাসনিক অদক্ষতায় শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গত ২৬ অক্টোবর মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় গত অর্থবছরে শূন্য পদ বেড়েছে ২.১১ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৪২ হাজার ৪১২। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা দুই লাখ ৪৭ হাজার ৬৪৮টিতে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি শূন্য পদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। এর অধীন দপ্তরগুলোতে ২৭ হাজার ৮৩৫টি পদ খালি পড়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরই শূন্য পদ ১৭ হাজার। পাঁচ হাজার করে শূন্য পদ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও সেবা পরিদপ্তরে। এর পরই রয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরে শূন্য পদ ২৬ হাজার ৫১৬টি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ ২২ হাজার ১৬৩টি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১৫ হাজার ৭৮৪, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে ১৩ হাজার ৩৮৬ ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ ১১ হাজার ৯৬৪টি। এ ছাড়া ১০ হাজারের বেশি পদ খালি কৃষি মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। সাতটি জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ চলছে। এরই মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর বাধ্য হয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে সাবধান করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, অর্থ দিয়ে বা তদবিরে চাকরি পাওয়ার সামান্যতম সুযোগ কারো নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে বুয়েট কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র চূড়ান্ত করা হচ্ছে। যে জেলায় পরীক্ষা হচ্ছে, সে জেলার ডিসিসহ স্থানীয় কর্তৃপক্ষেরও আগে প্রশ্নপত্র পাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ পরীক্ষার দিন সকাল ৮টার দিকে প্রশ্নের সফট কপি সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠানো হয়। সেই কপি তাত্ক্ষণিকভাবে পূর্বনির্ধারিত ছাপাখানায় নিয়ে ছাপিয়ে পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা হয়। এর পরও প্রতারকচক্র থেমে নেই। তারা তাদের কাজ করে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, একজন প্রতারক ১০ জনের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। এই ১০ জনের মধ্যে তিনজনের চাকরি এমনিতেই হচ্ছে। প্রতারক যদি বাকি সাতজনের টাকা ফেরতও দেয় তাহলেও তার আয় ভালো থাকে। কারণ যে তিনজনের চাকরি এমনিতেই হয়েছে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে সে হয়তো দুই লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরেই শূন্য পদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নানা উদ্যোগের পরও এসব পদ পূরণ করা যাচ্ছে না। গত মাসে নার্সদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৬ বছর করা হয়েছে। এর আগেও ২০১২ সালে তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সংকট কাটেনি। তাই বারবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, এভাবে নার্সদের চাকরিতে প্রবেশের বিদ্যমান সংকট দূর হবে না। মন্ত্রিসভা একবার বিশেষ বিবেচনায় বয়সসীমা ৩৬ করতে পারে। কিন্তু বারবার করলে সংকট আরো দানা বাঁধবে। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতা রয়েছে। শুধু নার্স নয়, প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট প্রকট। চিকিৎসকের পদ যেমন শূন্য, তেমনি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদও খালি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাসুদেব গাঙ্গুলী কালের কণ্ঠকে বলেন, সারা দেশে হাসপাতালের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে নতুন নতুন হাসপাতাল হচ্ছে। ৩০ বেডের হাসপাতাল হয়ে গেছে ৫০ বেডের, এক শ বেডেরটা আড়াই শ বেডের। আড়াই শ বেডেরটা হয়ে যাচ্ছে বিশেষায়িত হাসপাতাল। নতুন হাসপাতাল মানেই আরো পদ সৃষ্টি। তবে এসব পদে লোক নিয়োগ সহজ কাজ নয়। এ কারণে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। সম্প্রতি মন্ত্রিসভা নার্সদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৬ বছর করেছে। যেখানে বিসিএসসহ সব নিয়োগে বয়সসীমা ৩০ বছর, সেখানে নার্সদের জন্য কেন নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো হলো—এ প্রশ্নের জবাবে বাসুদেব গাঙ্গুলী বলেন, নার্স নিয়োগে আগে থেকেই একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ নিয়োগ হয় ব্যাচভিত্তিক। দেখা যায়, ২০তম ব্যাচ পাস করে বসে আছে, আর নিয়োগ হচ্ছে কেবল ১৩তম ব্যাচের। ভূমি প্রশাসনের মাঠপর্যায়ে জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্ট পদে লোক না থাকায় নিম্ন পদের কর্মকর্তারা উচ্চতর পদের দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ মানুষ যখন জরুরি কাজে ভূমি অফিসে যায় তখন বলা হয়, একা চারজনের কাজ করছি। এই দোহাই দিয়ে তাঁরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, জনবল নিয়োগের আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। একটি পদে নিয়োগের জন্য অনুমোদন চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঁচবার ফাইল পাঠানো হয়েছে। প্রতিবারই নানা ধরনের তথ্য চেয়ে ফাইল ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া মামলার কারণে কানুনগো, সাব এসও এবং এএসও নিয়োগ দিতে পারছে না ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি প্রশাসনের অনুমোদিত জনবল হচ্ছে সাত হাজার ৬৩২টি। এর মধ্যে চার হাজার ২৫০টিই শূন্য। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ (ভূরেজ) অধিদপ্তরের আওতায় জোনাল সেটলমেন্ট অফিসারের ১৯টি পদের মধ্যে ১৩টিতে জনবল আছে। বাকিগুলো শূন্য। চার্জ অফিসারের ৩৫টি পদের মধ্যে সাতটিতে অফিসার কাজ করছেন। ২৮টি পদে কোনো জনবল নেই। সদর সহকারী সেটলমেন্ট অফিসারের ১০টি পদের একটিতেও কাজ করার লোক নেই। ১৯৭১ সালের পর জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাদ্য উত্পাদন। কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরন্তর গবেষণা আর কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে এ সাফল্য। যেসব কৃষিবিজ্ঞানী ও কর্মকর্তার হাত ধরে এ সাফল্য সেসব পদের অনেকগুলোই এখন শূন্য। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, একসঙ্গে কয়েকটি ব্যাচের কর্মকর্তারা অবসরে চলে গেছেন। নিচের দিকেও কিছু পদ খালি হয়েছে। শিগগিরই এসব পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। একসঙ্গে কয়েক হাজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহায়তা নেওয়া হবে। সরকারের শূন্য পদ পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার তাগিদ দিয়েছেন। বিভিন্ন সময় মন্ত্রিসভা বৈঠকে শূন্য পদে লোক নিয়োগ নিয়ে তিনি তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদসচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের সচিব কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি গত মাসে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, সরকারের একটি পদ সৃজন করতে সর্বোচ্চ এক হাজার ছয় দিন সময় লাগে। শূন্য পদ পূরণে আরো লাগে এক হাজার ৯৫ দিন। চূড়ান্ত নিয়োগ দিতে মোট লাগে দুই হাজার ৬০১ দিন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফাইল পাঠাল, তাদের সময় লাগে ৩৬৫ দিন। আর এ-সংক্রান্ত ফাইল অনুমোদন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সময় নেয় ৫৪০ দিন। সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব আলী ইমাম মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারি পদ সৃজন হয় প্রয়োজনের তাগিদে। সেই পদ কেন পূরণ হবে না? অর্থ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কেন নিয়োগ আটকে থাকে তা আমলে নিলেই সমস্যার সমাধান হয়।

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের ওপর শিবিরের হামলা


অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ -বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম কলেজে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আসার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। হাতবোমা ফাটিয়ে, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালালে কলেজে শিক্ষকদের আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানও পণ্ড হয়ে যায়। পরে দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ালে ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার জের ধরে শিবির নিয়ন্ত্রিত পাশের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের কক্ষসহ আট-দশটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে কলেজের দুটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠকে বসে চারটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ছাত্রদের গতকাল বুধবার রাত ৮টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি থমথমে। কলেজ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় ওই এলাকায় যান চলাচল। এ সময় দোকানপাট বন্ধ করে দিয়ে ভয়ে ব্যবসায়ীরা এলাকা ত্যাগ করে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কলেজ শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফুল দেয়। এরপর তারা সেখানে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করছিল। এ সময় অতর্কিতে শিবির ক্যাডাররা ছাত্রলীগের আলোচনা অনুষ্ঠানে হামলা চালায়। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে শিবিরকর্মীরা গুলি ছোড়ে। খবর পেয়ে দ্রুত আমরা সেখানে যাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘হোস্টেল ও কলেজে তল্লাশি চলছে। এ পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) অর্ধশতাধিক ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ছাত্র হোস্টেল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।’ নগরীর চকবাজার থানার ওসি আজিজ উদ্দিন জানান, দুপুর ১২টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ক্যাম্পাসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার সময় শিবিরকর্মীরা হামলা চালায়। কলেজের একাডেমিক ভবনে তখন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা চলছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে ছাত্রলীগ নেতাদের আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিবিরকর্মীরা দুটি হাতবোমা ফাটায়। এ সময় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষই বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাকে। শিবির হামলা চালিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। তারা পুলিশের সঙ্গে বাগিবতণ্ডায় জড়ায়। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রায় দুই ঘণ্টা কলেজ সড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগ। এ সময় তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানায়, একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবিরকে প্রতিরোধ করার প্রস্তুতি নিলে আবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। শিবিরের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগকে কলেজের বাইরে বের করে দিয়ে মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরকারি মহসিন কলেজের গেটের সামনে অবস্থান নিলে ওই কলেজের ভেতর থেকেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। খবর পেয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনির নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মিছিল করে সেখানে যায়। তারা সেখানে গেলে শিবিরের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ থেকে তাদের লক্ষ্য করে রাস্তায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। কলেজের দিকে লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম জানান, শিবির তাঁদের পাঁচ কর্মীকে কলেজের ভেতরে আটকে রেখেছিল। ছাত্রলীগ গেট ভেঙে তাদের মুক্ত করার চেষ্টা করে। হামলায় শাওন নামে তাঁদের এক কর্মী শিবিরের ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হন। গতকাল দুপুর দেড়টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেবপাহাড় মোড়ের বিপরীতে ক্যান্টিন গেটের তালা ভেঙে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে যায়। তারা কলেজ ক্যান্টিন, অডিটরিয়াম ও লাইব্রেরি ভবন এবং মূল ভবনে অধ্যক্ষের অফিসের পাশের কক্ষের সামনের আয়নায় ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় শিবিরের কর্মী সন্দেহে একজনকে ধরে পিটুনি দেয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিবিরকে সহযোগিতার অভিযোগ এনে কলেজের নৈশ প্রহরী মো. মফিজউদ্দিনের ঘরও ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দিলে তারা পুলিশের সঙ্গে মূল ফটক দিয়ে কলেজে প্রবেশ করে। চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিজয় দিবস উপলক্ষে কলেজ অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। এতে কলেজের অনেক ছাত্রছাত্রী ছিল। একপর্যায়ে শুনতে পেলাম বাইরে সংঘর্ষ, গোলাগুলি হচ্ছে। এ সময় অনুষ্ঠান আর করতে পারিনি। আমরা ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি।’ তিনি বলেন, ‘তখন কাউকে বের হতে দিইনি। ২০ মিনিট পর পুলিশ আমাদের বের করে নিয়ে আসে।’ চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি বলেন, ‘ছাত্রাবাসগুলোতে কোনো বৈধ ছাত্র থাকে না। পার্শ্ববর্তী শিবির নিয়ন্ত্রিত মহসিন কলেজে মেয়েদের হোস্টেলে ছেলেরা থাকে। হোস্টেলগুলো একেকটা অবৈধ অস্ত্র আর সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের মজুদখানায় পরিণত হয়েছে। আমরা সেগুলো বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।’ হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ভাঙচুর : ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত চট্টগ্রামে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের কক্ষসহ আট-দশটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক করে কলেজের দুটি ছাত্রাবাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী গত রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টায় আমরা বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শেষে কলেজ থেকে বের হই। এরপর পৌনে ৫টার পর কে বা কারা এসে আমাদের আট-দশটি কক্ষ ভাঙচুর করে। আমরা চকবাজার থানাকে অবহিত করেছি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলেজের দুটি ছাত্রাবাস (মহসিন মুসলিম এবং নতুন ছাত্রাবাস) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি। রাত ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলাউদ্দিন আল আজাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি।’ চট্টগ্রাম কলেজের বিপরীত পাশে সরকারি এ কলেজটি অবস্থিত। গতকাল দুপুরে ওই কলেজে ছাত্রলীগের ওপর শিবিরের হামলার পর বিকেলে মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অঞ্জন কুমার নন্দী, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী, অফিস সহকারী (ক্যাশ) সামিনা আকতারের কক্ষ, বিজ্ঞান ভবনের ল্যাব, গণিত, জীববিজ্ঞান, কলা ভবনের নিচতলার দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়। 

ফেব্রুয়ারি থেকে মোবাইল ফোন সেটের নিবন্ধন


অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মোবাইল ফোনের নিবন্ধনও ( সেটের স্বতন্ত্র নম্বর -আইএমইআই এর নিবন্ধন ) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তারানা হালিম বলেন, মানুষের নিরাপত্তা ও স্বস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সিম নিবন্ধন ও আইএমইআই নম্বর নিবন্ধন জরুরি। সিম নিবন্ধন শেষ হলে মানুষের অর্ধেক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমরা মানুষকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে চাই। এ জন্য আইএমইআই নিবন্ধন করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের প্রধান নির্বাহী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘কোনো হুমকি য্দ্ধুাপরাধীদের বিচার বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না’


অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ কোনো হুমকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বুধবার সকাল ৯টায় চিরিরবন্দর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজের সালাম ও অভিবাদন গ্রহণের পুর্ব মুহুর্তে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফিরোজ মাহমুদ ও অফিসার ইন্চার্জ মো. আনিছুর রহমান। পরে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা এবং মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন ও তার ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ঋণের চেক ও ত্রাণের ঢেউটিন বিতরণ করেন।

আবুল হাসন মাহমুদ আলী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই। আজকের বিজয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছুটে গিয়ে দেশের জন্য অনেকে জীবন দিয়েছে। তাদের রক্তের সাথে আমরা বেঈমানী করলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে দ্রুত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ করা হবে।

তিনি বলেন, আজকে শত শত নারী পুরুষের হাতে বাংলাদেশের পতাকা দেখে গর্বে বুক ভরে যায়। এই পতাকা আমাদেরকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বীর যোদ্ধার জীবনের বিনিময়ে উপহার দিয়ে গেছেন। এই পতাকার রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

দেশে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে : জি এম কাদের


অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের বলেছেন, দেশে আজ চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। দমন নির্যাতনের মাত্রা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আজ আতঙ্কগ্রস্ত। মানুষ এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে।

বুধবার বিকালে রাজধানীর কাওলার বাজারে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি সমর্থক গোষ্ঠির উদ্যেগে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের আরো বলেন, যে উদ্দেশ্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি তা আজও পূরণ হয়নি। দেশের সব ক্ষেত্রে বৈষম্য আজ প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়েছে। যা রাষ্ট্রযন্ত্রকে জনবিরোধী করে তুলছে।

জাকির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ।

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি,পাকিস্তান-মালয়েশিয়ার বিস্ময় প্রকাশ

অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৌদি আরবের গড়া নতুন জোটের সদস্যদের কেউ কেউ সেই জোটে নিজেদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, জোটে যোগ দেবার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা মত দেননি। ফলে এই জোটের কার্যক্রম এবং সাফল্য নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আইজাজ চৌধুরী বলেছেন, সৌদি সামরিক জোটে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা শুনে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
একই সাথে রিয়াদে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের কাছে এ বিষয়ে বিশদ জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জোটে পাকিস্তানের ভূমিকা কি হবে, তা ঠিক করার আগে ঐ জোটে আদৌ তারা যোগ দেবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
একই কথা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চুক্তির বিস্তারিত কার্যবিধি পর্যালোচনা করে দেখছে ইন্দোনেশিয় সরকার। ফলে সামরিক জোটে যোগ দেবার বিষয়ে তারা এখনো নিশ্চিত নয়।
এদিকে, মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন এই জোটকে সমর্থন জানালেও, জোটে কোনরকম সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
ফলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাষ্ট্রগুলোর এরকম প্রতিক্রিয়ার পর নতুন সামরিক জোটের কার্যক্রম এবং সাফল্য নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন উঠেছে।
তবে এই জোটকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, নতুন জোট জঙ্গিবাদ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মি: ল্যাভরভ বলেন , "এটি একটি শুভ সূচনা, পরবর্তীতে জাতিসংঘ এ নিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ সম্মেলন আয়োজন করতে পারে। হয়ত সেখান থেকে নতুন আরেকটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে।"
মঙ্গলবার ৩৪টি মুসলিম প্রধান দেশ নিয়ে একটি নতুন সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।
রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ মোহামেদ বিন সালমান জানান, এই জোট ইরাক, সিরিয়া, মিশর আর আফগানিস্তানে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
বাংলাদেশও এই জোটে যোগ দিয়েছে। তবে, জোটের অধীনে সৈন্য পাঠাতে হবে কিনা, বা সামরিক বিষয়ে কি ধরণের সহযোগিতার প্রশ্ন আসবে, তা নিয়ে এখনো বিস্তারিত জানে না দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জাপানে স্বামী-স্ত্রীর নামের পদবী এক হতে হবে

অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ জাপানের স্বামী-স্ত্রীর নামের পদবী অবশ্যই এক হতে হবে বলে দেশটির সুপ্রীম কোর্ট নির্দেশ জারি করেছে। সেখানকার নারী অধিকার কর্মীরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছে বিয়ের পরও যেন মেয়েরা তাদের সারনেম বা নামের পদবী ধরে রাখতে পারে। জাপানের ছিয়ানব্বুই শতাংশ মহিলা বিয়ের পর তাদের স্বামীর নামের পদবীই গ্রহণ করে। জাপানে আগে মহিলারা বিয়ের পরও তাদের পারিবারিক নাম ধরে রাখতে পারতো। কিন্তু ১৮৯৮ সালে নিয়ম পরিবর্তন করা হয় এবং পরিবারের সব মহিলা এবং শিশুদের জন্য পরিবারের পুরুষ প্রধানের নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। জাপানে বিবাহ বিচ্ছেদের ছয় মাসের মধ্যে মহিলাদের আবার বিয়ে করা নিষেধ। কিন্তু পুরুষদের বেলায় এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। তবে আদালত এখন বিচ্ছেদের ছয় মাসের মধ্যে মহিলাদের আবার বিয়ে করার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। জাপানের আদালতে মহিলাদের স্বামীর পদবী গ্রহণের বাধ্য-বাধকতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিন মহিলা এবং এক দম্পতি। এরা তাদের আবেদনে বলেছিলেন, এই নিয়ম অসাংবিধানিক।

কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৪তম মহান বিজয় দিবস ২০১৫ পালিত


আল-আমিন রানা, বিশেষ প্রতিনিধি:: ৪৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত,মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সম্মানে নীরবতা পালন, বাণী পাঠ, আলোচনা সভা এবং প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন। দিনের শুরুতে সকাল ৯টায় দূতাবাস চত্ত্বরে কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসহাব উদ্দিন এনডিসি, পিএসসি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।

পরে দূতাবাসের হলে মিশনের উপ-প্রধান এস.এম মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিমুল গনি, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খাঁন, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব মোহাম্মদ আনিসুদজ্জামান এবং পররাষ্ট্র প্রতি-মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন সোনালী ব্যাংক কুয়েত প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন পাটোয়ারী।
কুয়েত প্রবাসী অনেকেই এই দিনের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য দেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মহান এই দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
সেই সাথে কুয়েতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দূতাবাস, বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টসহ কুয়েতে কর্মরত প্রবাসিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনীতিক সংগঠন নানা কর্মসূচিতে পৃথকভাবে এই দিনটিকে পালন করেছে।