Thursday, December 17, 2015

সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় সরকার দলীয় এমপির


পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও এতে সন্তুষ্ট নন সরকার দলীয় এমপি ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী। শরীয়তপুর-২ আসনে ক্ষমতাসীন দলের এ এমপি স্বয়ং নিজের এলাকা শরীয়তপুরের নড়িয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি নিজেই নড়িয়া পৌরসভায় তার দলের ‘বিদ্রোহী’ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে হাজির হন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিতে এলেও তার দেখা পাননি শওকত আলী। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী ‘ত্রাস’ সৃষ্টি করেছেন নড়িয়ায়। ফলে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয়ে আছেন তিনি।

“নড়িয়া পৌরসভায় মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দেওয়া হচ্ছে। আচরণবিধি হরদম লঙ্ঘিত হচ্ছে, অস্থির অবস্থা, ত্রাসের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।”

“আওয়ামী লীগের একজন বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে এসব কাজ হচ্ছে। সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু হবে, তা বুঝতে পারছি না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।”

নড়িয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হায়দার আলী। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়েও মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন শহীদুল ইসলাম বাবু।

বাবুকে সমর্থন দিচ্ছেন নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক। তিনি পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হকের ভাই।

নড়িয়ায় দলের কর্তৃত্ব নিয়ে সংসদ সদস্য শওকত আলী এবং উপজেলা চেয়ারম্যান ইসমাইলের বিরোধ রয়েছে। মাসখানেক আগে হামলার শিকার হয়ে সেজন্য ইসমাইল সমর্থকদের দায়ী করেছিলেন শওকত আলী।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার বলেন, “আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হায়দার আলী এসব বাড়াবাড়িতে পটু না । সে নির্বাচন কমিশন ও প্রচলিত আইনের ওপর নির্ভর করছে।”

পক্ষান্তরে বাবুর পক্ষে বিএনপির এক নেতাও কাজ করছেন এবং তারা এলাকায় হায়দারের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন বলে শওকত আলীর অভিযোগ।

“আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ছেলে পাভেল প্রচারের কাজে গ্রামে গেলে তাকে ধাওয়া করছে বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকেরা। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।”

তবে ইসির উপর আস্থা এখনও রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্যের।

“সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই যেন করা হয়। সিইসিকে বলতে এসেছিলাম, তিনি বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত। রিটার্নিং অফিসারকেও জানানো হবে। থানার ওসি ও এসপিকে জানিয়েছি।”

আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হবে। বিএনপি ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সমালোচনা করে সুষ্ঠু ভোটের শঙ্কা প্রকাশ করলেও ক্ষমতাসীন দল থেকে এই প্রথম কেউ সংশয় প্রকাশ করল।

তবে বিএনপির ‘শঙ্কার’ সঙ্গে তার অভিযোগ এক নয় বলে দাবি করেন শওকত।

“বিএনপির সঙ্গে মিল নেই আমার কথায়। তারা বেশি করে বলার চেষ্টা করছে। আমি শুধু একটি পৌরসভার কথা বলছি। সারাদেশের বিষয়ে আমি অবগত নই।”

No comments:

Post a Comment