জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা শতাধিক ইটভাটায় মৌসুমের শুরুতেই ভাটায় ইট তৈরির মহাযজ্ঞ শুরু হয়। সবকিছু ঠিকটাক মত চললেও টানা ২ দিনের ঝড়ে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে যায়। মুহুর্তে ধ্বংস লীলায় পরিণত হয় পুড়ানোর জন্য রাখা কাঁচা ইট। এতে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। উপজেলার ইসলামপুর, দক্ষিন রাজা নগর, রাজা নগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক ইট ভাটার দেড় শতাধিক মালিকের ইটভাটায় মাথায় হাত পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইটভাটার মধ্যে বিএমবি, এ.এম.ডি, এস.এ.এবি, এফ.বি.আই, এস.এস.বি, এম.এম.ডি, কি.ডি.এম, কে.বি.এম, কে.বি.আই, এইচ.এ.বি, এম.এম, এম.এম.বি, ডি.এম.সি, বি.এম.বি, নুরানি ইটভাটা সহ শতাধিক ইটভাটায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ভাটা মালিকরা অর্থনৈতিক ভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অনেক ইটভাটার মালিকরা ভাটা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
রানীরহাট ডিএমসি ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী জানান, ২ দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে ইটভাটার মারাত্বক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির মধ্যে লক্ষ্য লক্ষ্য কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। এতে অর্থনৈতিক ভাবে চরম ক্ষতির স্বীকার হয়েছি। নতুন ভাবে আবার কাঁচা ইট তৈরিতে ইটভাটায় ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
ইটভাটা মালিক সমিতির আহবায়ক মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, ইট তৈরি মুহুর্তে ভাটায় লক্ষ লক্ষ কাঁচা ইট ঝড়ে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কোন কোন ইটভাটার অধিকাংশ কাঁচা ইট পানিতে গলে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। আবার অধিকাংশ ইটভাটার ইট পুড়ানো অবস্থায় বৃষ্টিতে মারাত্বক ক্ষতি হয়। প্রচন্ড ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইটভাটা।
No comments:
Post a Comment